জমির হিসাব নিকাশ জানা প্রতিটা মানুষের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। জমির হিসাব বুঝার আগে জমির কাগজ কোনটা কি কাজ করে জেনে নেন।
জমির হিসাব এর গুরুত্বপূণ কাগজ গুলা হলো : “পর্চা”, “দাগ”, “খতিয়ান”, “মৌজা”, “জমা খারিজ”, “নামজারি”, “তফসিল” ইত্যাদি বিষয়ের ডেফিনেশন? এবং জেনে নিন ভূমি বিষয়ক জরুরী সব তথ্য..
জমির হিসাব এর সকল কাগজ এর বেক্ষা দিয়া হলো
“ভূমি কাকে বলে?”- এর আইনী সংজ্ঞা রয়েছে। The State Acquisition and Tenancy Act, 1950- এর ২(১৬)- ধারা মতে, “ভূমি (land) বলতে আবাদি, অনাবাদি অথবা বছরের যেকোন সময় পানিতে ভরা থাকে এবং ভূমি হতে প্রাপ্ত সুফল, ঘরবাড়ি বা দালান কোঠা বা মাটির সঙ্গে সংযুক্ত অন্যান্য দ্রব্য অথবা স্হায়ীভাবে সংযুক্ত দ্রব্য এর অন্তর্ভুক্ত বুঝাবে।”
আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ
এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়।
এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে। রেকর্ড বা জরিপ প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;
আইনী সংজ্ঞা হচ্ছে, The Survey Act, 1875 এবং সংশ্লিষ্ট বিধিমালা অনুযায়ী সরকারের জরিপ বিভাগ সরেজমিন জরিপ করে ভূমির মালিকানার যে বিবরণ
এবং নকশা তৈরী করে তাই রেকর্ড বা জরিপ। অর্থাৎ রেকর্ড বা জরিপ হচ্ছে মালিকানার বিরবণ এবং নকশার সমন্বয়। একটি ভূমির মালিক কে এবং তার সীমানা কতটুকু এটা ভূমি জরিপের মাধ্যমে নকশা/ম্যাপ নির্ণয় করা হয়। এই নকশা এবং ম্যাপ অনুসারে মালিকানা সম্পর্কিত তখ্য যেমন ভূমিটি কোন মৌজায় অবস্থিত, এর খতিয়ান নাম্বার, ভূমির দাগ নাম্বার, মালিক ও দখলদারের বিবরণ ইত্যাদি প্রকাশিত হয় যাকে খতিয়ান বলে।
রেকর্ড বা জরিপ প্রচলিতভাবে খতিয়ান বা স্বত্ত্বলিপি বা Record of Rights (RoR) নামেও পরিচিত। রেকর্ড বা জরিপের ভিত্তিতে ভূমি মালিকানা সম্বলিত বিবরণ খতিয়ান হিসেবে পরিচিত। যেমন CS খতিয়ান, RS খতিয়ান, ইত্যাদি। আমাদের দেশে পরিচালিত ভূমি জরিপ বা রেকর্ড গুলো হচ্ছে;
“সিএস” হলো Cadastral Survey (CS) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। একে ভারত উপমহাদেশের প্রথম জরিপ বলা হয় যা ১৮৮৯ সাল হতে ১৯৪০ সালের মধ্যে পরিচালিত হয়। এই জরিপে বঙ্গীয় প্রজাতন্ত্র আইনের দশম অধ্যায়ের বিধান মতে দেশের সমস্ত জমির বিস্তারিত নকশা প্রস্তুত করার এবং প্রত্যেক মালিকের জন্য দাগ নম্বর উল্লেখপুর্বক খতিয়ান প্রস্তুত করার বিধান করা হয়। প্রথম জরিপ হলেও এই জরিপ প্রায় নির্ভূল হিসেবে গ্রহণযোগ্য। মামলার বা ভূমির জটিলতা নিরসনের ক্ষেত্রে এই জরিপকে বেস হিসেবে অনেক সময় গণ্য করা হয়।
সিটি জরিপ এর আর এক নাম ঢাকা মহানগর জরিপ। আর.এস. জরিপ এর পর বাংলাদেশ সরকার কর্তিক অনুমতি ক্রমে এ জরিপ ১৯৯৯ থেকে ২০০০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়। এ যবত কালে সর্বশেষ ও আধুনিক জরিপ এটি। এ জরিপের পরচা কম্পিউটার প্রিন্ট এ পকাশিত হয়। জমির হিসাব জানার জন্য সব কিছু জানা খুব জরুরি।
ভূমি জরিপকালে চূড়ান্ত খতিয়ান প্রস্তত করার পূর্বে ভূমি মালিকদের নিকট খসড়া খতিয়ানের যে অনুলিপি ভুমি মালিকদের প্রদান করা করা হ তাকে “মাঠ পর্চা” বলে। এই মাঠ পর্চা রেভিনিউ/রাজস্ব অফিসার কর্তৃক তসদিব বা সত্যায়ন হওয়ার পর যদি কারো কোন আপত্তি থাকে তাহলে তা শোনানির পর খতিয়ান চুড়ান্তভাবে প্রকাশ করা হয়। আর চুড়ান্ত খতিয়ানের অনুলিপিকে “পর্চা” বলে। জমির হিসাব পর্চা য় লেখা থাকে।
যখন CS জরিপ করা হয় তখন থানা ভিত্তিক এক বা একাধিক গ্রাম, ইউনিয়ন, পাড়া, মহল্লা অালাদা করে বিভিন্ন এককে ভাগ করে ক্রমিক নাম্বার দিয়ে চিহ্তি করা হয়েছে। আর বিভক্তকৃত এই প্রত্যেকটি একককে মৌজা বলে। মৌজা ম্যাপ / মানচিত্র দেখে স্কেল ধরে জমির হিসাব করা যায়। মৌজা ম্যাপ গান্টার শিকল এ করা হয়।
হিন্দুধর্ম মতে, ধর্মীয় কাজের জন্য উৎসর্গকৃত ভূমিকে দেবোত্তর সম্পত্তি বলে।
ইসলামি বিধান মোতাবেক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বন্টন করার নিয়ম ও প্রক্রিয়াকে ফরায়েজ বলে।
ওয়ারিশ অর্থ উত্তরাধিকারী । ধর্মীয় বিধানের অনুয়ায়ী কোন ব্যক্তি উইল না করে মৃত্যু বরন করলে তার স্ত্রী, সন্তান বা নিকট আত্মীয়দের মধ্যে যারা তার রেখে যাওয়া সম্পত্তিতে মালিক হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন এমন ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণকে ওয়ারিশ বলে। জমির হিসাব এর জন্য ওয়ারিশ দের হিসাব জানা জরুরি।
নদী গর্ভ থেকে পলি মাটির চর পড়ে জমির সৃষ্টি হওয়াকে পয়ন্তি বলে।
যে কোন লিখিত বিবরণ আইনগত সাক্ষ্য হিসাবে গ্রহণযোগ্য তাকে দলিল বলা হয়। তবে রেজিস্ট্রেশন আইনের বিধান মোতাবেক জমি ক্রেতা এবং বিক্রেতা সম্পত্তি হস্তান্তর করার জন্য যে চুক্তিপত্র সম্পাদন ও রেজিস্ট্রি করেন সাধারন ভাবে তাকে দলিল বলে। জমির হিসাব জানার জন্য দলিল বুঝা খুব জরুরী।
জমির হিসাব এর জন্য ফিতার মাপ দিয়া হলো।
1 বিঘা = 14,400 বর্গফুট
1 বিঘা = 1600 বর্গগজ
1 বিঘা = 20 কাঠা
1 বিঘা = 1 বর্গরাশি
1 বিঘা = 33 শতক
1 কাঠা = 720 বর্গফুট(18″)
1 কাঠা = 80 বর্গগজ
1কাঠা= 1.65 শতক/শতাংশ
1 কাঠা = 16 ছটাক
1 বিঘা= 20 কাঠা
1 একর= 60.5 কাঠা
1 একর = 3 বিঘা 8 ছটাক
1 একর=43560 বর্গফুট
1 একর= 60.5 কাঠা
1 একর= 100 শতক
1একর= 4840 বর্গগজ
1 একর= 10 বর্গ চেইন
1 চেইন= 22 গজ
1 বর্গ চেইন= 484 বর্গগজ
1 ছটাক= 0.10313 শতক
1 ছটাক= 45.54বর্গফুট (18″)
1 ছটাক= 5.01বর্গগজ
1 বর্গগজ= 9বর্গফুট
1 বর্গফুট= 144 বর্গ ইঞ্চি
1 বর্গ কিমি=247 একর
1 বর্গমাইল= 640 একর
1 শতক = 65.45 বর্গ ইঞ্চি
1 শতক = 435.6 বর্গফুট
1 শতাংশ=100 অযুতাংশ
1 শতাংশ=48.40 বর্গগজ
5 শতাংশ= 3 কাঠা
10 শতাংশ= 4356 বর্গফুট
1 বর্গমিটার=1.196 বর্গগজ
1 বর্গমিটার=10.76 বর্গফুট (প্রায়)
1 হেক্টর=2.47 একর (প্রায়)
1 হেক্টর=7.47 বিঘা
1 হেক্টর= 10000 বর্গমিটার
1 হেক্টর= 100 এয়র
1 এয়র= 100 বর্গমিটার
1 বর্গ মাইল= 640 বর্গ একর
1 বর্গহাত = 1 গণ্ডা।
4 বর্গহাত = 4 গন্ডা = 9 বর্গফুট = 0.84 বর্গমিটার।
1 ছটাক= 20 গণ্ডা
1 কাঠা= 66.89 বর্গমিটার।
1 বিঘা = 1337.8 বর্গমিটার
1 একর = 4046.24 বর্গমিটার।
1 শতক =1000 বর্গ কড়ি।
1 বর্গমাইল = 1936বিঘা।
10 ঘন মিটার = 1 ঘন স্টেয়র।
10 ঘন স্টেয়র = 1 ডেকাস্টেয়র।
1 স্টেয়র = 35.3 ঘনফুট।
1 ডেকাস্টেয়র =13.08 ঘনগজ।
Building planning consultant. Residential and commercial building Architecture Design, Structure Design, 3D design rendering, Animation works, Electrical design, Plumbing Design, and much more.
বাড়ির ডিজাইন করতে চাইলে এই ফ্রম পূরণ করুন
হা আমরা অনলাইন বাড়ির প্ল্যান ডিজাইন এর কাজ করি। যেহেতু আপনার এলাকায় আমাদের অফিস না
তাই আমরা অনলাইনে ই কাজ করি।
আমরা প্রি পেইড এ কাজ করি। কাজ এর শুরুতে আমরা বায়না করার জন্য ২০% পেমেন্ট নিয়ে থাকি।