নতুন বাড়ির ডিজাইন
সবার জীবনে একটা স্বপ্ন থাকে যে সুন্দর একটা বাড়ি হবে, এ কটা গাড়ি হবে। অনেকে চায়, সারাজীবন তো কষ্ট করলাম, জীবনের শেষ সুন্দর একটা বাড়ি করে যেন বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারি ।
নতুন বাড়ির ডিজাইন করার আগে আমি আপনাদের সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমি শেয়ার করতে চাই
প্রথমে জানার বিষয় প্ল্যান কি ? কেন করবেন?
কেমন ইঞ্জিনিয়ার বা আর্কিটেক্ট দিয়ে আপনাকে ডিজাইন করতে হবে
আর্কিটেক্ট:
আর্কিটেক্ট এর সেবা নিয়া উচিত প্ল্যান করার জন্য। আর্কিটেক্ট কে অবস্যই IAB মেম্বার হবে হবে। আর্কিটেক্ট সেবা নিয়া আগে একটা কথা বলি, অনেকে ভাবে যে কোনমতে একটা বাড়ি করি, বাড়ি করার পর এভাবে যদি একটু সুন্দর হতো, কিন্তু যদি একবার কনক্রিট শক্ত হয়ে যায় পরে ওটা কে আর চেঞ্জ করা সম্ভব হয় না। তাই ভালো আর্কিটেক্ট দিয়ে বাড়ির রুমের অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং সামনের দিকে দৃশ্য ডিজাইন করে নিবেন। নতুন বাড়ির ডিজাইন করার আগে ভেবে চিন্তে সিন্ধান্ত নিন।
জানালা দরজার মাপ গুলো বুঝে নিবেন। পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আছে কিনা দেখে নিবেন। সবসময় রুমের মধ্যে 24 ঘন্টা লাইট ফ্যান গোপন রাখা সম্ভব না এতে করে আপনার বিদ্যুৎ বিল অনেক বেশি আসবে এবং প্রাকৃতিক আলো-বাতাসের যে ফিলিংস পাবেন না। আর্কিটেক্ট কে অবশ্যই বেচেলার ডিগ্রীপ্রাপ্ত হতে হবে, এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসারে আর্কিটেক্ট কি অবশ্যই বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট এর মেম্বার হতে হবে।
আমাদের করা কিছু কাজ
সয়েল টেস্ট / মাটি পরীক্ষা
ইঞ্জিনিয়ারের সাথে কথা বলে সয়েল টেস্ট কয়টা করতে হবে কিভাবে করতে হবে এটা বুঝে নিবেন, এক সময় এমন হয় যে যেখানে তিনটা বোরিং পড়লে কাজ হতো সেখানে অতিরিক্ত বোরিং করা লাগতে পারে। সয়েল টেস্ট করার সময় মাটির লালগোলা উঁচু-নিচু আছে কিনা সবগুলো লেয়ার একই লেভেলের একা থাকি না এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যদি না থাকে তাহলে এখানে বাড়তি বোরিং করা লাগতে পারে, যদি ছোট প্রজেক্ট হয় তাহলে 3 টা বোরিং মিনিমাম করবেন, আর যদি মিডিয়াম সাইজের প্রজেক্ট হয় তাহলে পাঁচটা বোরিং করবেন।
যদি সাইটে মাটির লেভেল আপডাউন থাকে তাহলে মাটির নিচেরে কি অবস্থা এটা দেখার জন্য অতিরিক্ত বোরিং করা লাগতে পারে এটা অবশ্যই কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন। আপনার প্রজেক্ট এর পাশে আর কার কি ধরনের স্থাপনা করা আছে সেখানে কোন ধরনের ফাউন্ডেশন করা আছে এগুলো সয়েল টেস্ট এর মধ্যে থাকতে হবে। সাইটের অবস্থান তার সঠিক ভাবে থাকতে হবে, কোথায় জমিটা কতটুকু উঁচু-নিচু আছে বিস্তারিত থাকতে হবে, বোরিং করার পরে পানির লেভেল কোথায় আছে এটার বিস্তারিত বিবরণ থাকতে হবে। সয়েল টেস্ট করা থাকলে স্ট্রাকচার ডিজাইন করতে সুবিধা হয়, সঠিকভাবে করা যায়, সয়েল টেস্ট এর উপরে নির্ভর করে এই বিল্ডিং এ কোন ধরনের স্ট্রাকচার ডিটেইলিং করা লাগবে তা বুঝা যায়। এজন্য সয়েল টেস্ট এর উপর গুরুত্ব দিবেন
সিভিল ইঞ্জিনিয়ার
নির্মাণকাজে কেমিক্যাল প্রয়োগ
ভবন কে 100 বছরের অধিক টিকিয়ে রাখতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস
- একটা ভবনকে 100 বছরের উপরে রাখতে গেলে আপনাকে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে।
- রডের জং ধরার আগে ঢালাইয়ের কাজ শেষ করেন।
- লিন্টেল বাহিরের পাশে যথাসম্ভব কম দিবেন, সম্ভব হলে দিবেন না, আর যদি দেন তাহলে পাথরের ব্যবহার করবেন।
- ডিজাইনার যদি কলামগুলো কে বিল্ডিংয়ের পাশে দেয়, তাহলে বৃষ্টিতে ভিজতে পারে তাই পাথরের খোয়া বেশি করে ব্যবহার করবেন।
- কলামের রড বাধা, কলামের রড ওয়েডিং করে দিবেন। সম্ভব হলে দুই ফিটের মধ্যে কলাম অথবা বীমের রড দিবেন না।
- ডিজাইন অনুসারে কলাম এবং বীমের টাই গুলো কে সঠিকভাবে বাঁধুন
- ঢালাই তে পানি 20 লিটারের কম দেওয়ার চেষ্টা করুন।
- ছাদের উপরে কোন আরসিসি কাজ করলে অবশ্যই পাথর দিয়ে করবেন।
- ছাদ ঢালাই ও পাথর দিয়ে করবেন।
- এবং দূরত্ব ওয়াটারপ্রুফ করে ফেলুন।
মোটকথা কোন কনক্রিট কে যার মধ্যে রড দিয়া আছে। এগুলো যেন না ভেজে। পানিতে ভিজলে রডের জং ধরতে পারে। আপনি যদি রডকে জং ধরা থেকে নিরাপদ রাখতে পারেন তাহলে আপনার বিল্ডিংয়ের আয়ুষ্কাল অনেক বেড়ে যাবে।
আর যদি আপনার বিল্ডিং রড দ্রুত জং ধরে তাহলে বিল্ডিং বেশিদিন টিকবে না। নতুন বাড়ির ডিজাইন নতুন রাখার জন্য অবশ্যই কংক্রিট কে বেশি শক্তি শালী করবেন।
নতুন বাড়ি করার আগে কিসু বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন।
পাথরের পানি শোষণ ক্ষমতা এক পার্সেন্ট এরও কম, ইটের পানি শোষণ ক্ষমতা 15% অধিক, ইদানিং প্রচুর বৃষ্টি , বৃষ্টিপাতের ফলে ইটের খোয়া দিয়ে ভবন করা হয় তাহলে খোয়া একবারে ভিজে গেলে সেটা শুষ্ক করতে অনেক সময় লাগবে, এই সময় যদি রডের গায়ে পানি লাগে তাহলে রড যন্ত্রে যাবে, রড যদি মরিচা ধরে যায় তাহলে আপনার বিল্ডিংয়ের আয়ু কমে গেল। মনে রাখবেন যদি আপনি রডকে মরিচার না ধরতে দিতে পারেন তাহলে আপনি সাকসেস, রডের মরিচা লাগা মানে আপনার এত কষ্টের বাড়ি এত টাকার বাড়ি। এত পরিশ্রম এর বাড়ি সব শেষ হয়ে গেল। দেখবেন কি 20 বছর পরে বাড়ি চেহারায় চেঞ্জ হয়ে গেছে।
আর একটা কথা এখানে বলা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে টুকটাক যখনই কোন একটা ভবনের কোন অসুবিধা হয় দেখামাত্রই ঠিক করে ফেলা, রোগ অল্প থাকতে ঠিক করে ফেলবেন। এত টাকার বাড়ি অবহেলা করবেন না, তাহলে কিন্তু বড় আকারের ক্ষতির মধ্যে পড়ে যাবেন। ব্রিটিশরা বিল্ডিং পড়ে গেছে 200 বছর এখনো কিছু হয়নি আর আমরা বাড়ি করতে গেলে টেকে না, আপনি আপনার পাশের বাড়ির খবর নেন, দেখেন আমি যা বলছি সঠিক কিনা?
স্ট্রাকচার এর কাজে পাথর ব্যবহার করলে ভাল হয় অন্তত যে অংশটা বৃষ্টিতে ভিজার চান্স থাকে, কখনো কলাম বিম কংক্রিট কমাবেন না একটা কথা মনে রাখবেন স্ট্রাকচার করতে বেশি খরচ হয় না, খরচ হয় টাইলস এর কাজের।
নতুন বাড়ি করার আগে কিসু বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন।
সুন্দর ফ্লোর প্ল্যান
আপনার জায়গা অনুসারে সঠিকভাবে জায়গার বিন্যাস করে সুন্দর একটা ফ্লোর প্লান করা যেতে পারে।
এমন হয় রুমের অ্যারেঞ্জমেন্ট গুলো সুন্দর ভাবে বাহির থেকে দেখতেও সুন্দর লাগবে
সেট ব্যাক
পাশে জায়গা ছেড়ে কাজ করবেন , অনেকেই জায়গা ছেড়ে কাজ করতে চান না পরে দেখা যায় কি তার পাশে বাড়ি করলে জানালা খোলা যায় আরো অনেক রকমের অসুবিধা হয়, ফাউন্ডেশন করতে অসুবিধা হয়
24/7 Support
যে কোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন আমরা আপনাকে সব ধরনের সাহায্য ও সহযোগিতা করব।
ডিজাইন অনুযায়ী কাজ।
ভালো কংক্রিট
আপনি নিশ্চিন্ত
আপনার; ফাউন্ডেশন, কলাম, বি,ম যদি ঠিকমত করা হয় তবে আপনি নিশ্চিন্ত। সঠিক সিমেন্ট, ভালো বালি, ভালো খোয়া, ভালো পানি, কেমিক্যাল, দিয়ে কংক্রিট মিক্স করবেন।
বাড়ির ডিজাইনের জন্য যোগাযোগ করুন। আমাদের বাড়ির নকশার ভিডিও দেখুন।