বাড়ি করার আগে সুন্দর বাড়ি তৈরির প্লান বা নকশা করুন।
বাড়ি তৈরির প্লান করার আগে প্রয়োজনীয় অনেক কিছু জানা অনেক জরুরি।
বাড়ি তৈরির প্লান সমূহ
স্বপ্নের বাড়ি তৈরী করার জন্য বাড়ি তৈরির প্লান ও হিসাব করে শুরু করুন। বাড়ির ডিজাইন নকশা থাকলে মেস্তরি কাজে ভুল করবে না।
আর্কিটেকচার ফ্লোর প্লান: জমির সঠিক বেবহার করে সূদনর ও বসবাস যোগ্য উপযোদি করে প্লান করা হয়।
জমির পরিমান ও কত তোলা হবে তার উপর ভিত্তি করে চার পাশের জমি ছেড়ে বাড়ি তৈরির প্লান করা হয়।
পর্যাপ্ত এল বাতাস চলাচল যেন করে সেই দিক বিশেষ ভাবে লক্ষ্য রেখে করা হয়।
আরো আধুনিক প্ল্যান করার জন্য শীত কালে রোড আসে আর গরম কালে রড থেকে বাঁচার জন্য ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
এমন অনেক বাড়ি দেখি যেখানে শীত কালে ও কষ্ট আবার গরম কালে ও কষ্ট হয়।
একটা সুন্দর ও মজবুত বাড়ি করার জন্য জমির মালিক কে ই ভূমিকা রাখতে হয়।
বাড়ি তৈরির নকশা ছবি সামনের অংশ
বাড়ি তৈরির নকশা ছবি সামনের অংশ আমরা ২ ভাবে করেছি। প্রথমে 2D করেছি তার পরে 3D করছি
নিরাপদ বাড়ি তৈরির জন্য স্ট্রাকচার ডিজাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
একটা সুন্দর ও মজবুত বাড়ি করার জন্য জমির মালিক কে ই ভূমিকা রাখতে হয়। বাড়ি তৈরির প্লান করে কাজে হাত দিন।
স্ট্রাকচার ডিজাইন অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভূমিকম্প সহনীয় ভবন ডিজাইন করা আর বাস্তবায়ন করা অনেক জরুরি।
বাড়ির ডিজাইনের জন্য যোগাযোগ করুন। আমাদের বাড়ির নকশার ভিডিও দেখুন।
বাড়ি তৈরী করতে কি কি লাগে ?
বাড়ি তৈরী করতে কি কি লাগে, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন , মাটি পরীক্ষা , স্ট্রাকচার ডিজাইন , ইলেক্ট্রিক্যাল ডিজাইন, প্লাম্বিং ডিজাইন।
প্রজেক্ট এ যত দিন কাজ হবে অবশ্যই একজন ইঞ্জিনিয়ার রাখবেন। সে সব সময় কাজ চেক করে দেখবে।
স্ট্রাকচার ডিজাইন গুরূত্বপূর্ণ কিছু প্লান বা নকশা
বাড়ি তৈরির প্লান এর মধ্যে স্ট্রাকচার ডিজাইন খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রাকচার ডিজাইন করার পরে প্লান যেন মিস্ত্রিরা ঠিক মতো করতে পারে।
তাই কলামগুলোকে প্রোপার লোকেশনে বসানোর জন্য গ্রিড টানা হয়।
এখানে গ্রিড লাইন গুলোকে সুতা দিয়ে টানা হয় প্রথমে তারপরে এখান থেকে মাপ কলামের কোন পাশে কত ইঞ্চি গিয়েছে সেই মাপ থাকে যার ধরুন কলামটা প্রপার পয়েন্টে বসে।
সুতা থেকে কলমটা কোনদিকে কত ইঞ্চি ছেড়েছে সব মাপ থাকে।
ফাউন্ডেশনে আউটলাইন প্ল্যান
ফাউন্ডেশনে আউটলাইন প্ল্যান: বেজের মাপ দেওয়া থাকে এখানে একটা দুই তলা বাড়ির বেজের মাপ দেওয়া আছে। কলামের লোড ভিন্ন, মাটির লোড ক্যাপাসিটি অনুসারে তাহলে বেজের মাপগুলো ভিন্ন ভিন্ন। প্রতিটা কলাম কে যদি ভিন্ন ভিন্ন লোড হিসাব করে করা হয় তাহলে বেশি ইকোনোমিকাল ডিজাইন করা যায়।
এরপরে বেজের বা ফুটিং এর নাম দেওয়া আছে ওই বেজের বা ফুটিং এর নাম গুলো দিয়ে এরপরে ফুটিংয়ের জন্য ডিটেলিং করা আছে। বাড়ি তৈরির প্লান এর প্ল্যানের জন্য ফাউন্ডেশন লেয়ার প্ল্যানটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ
এখানে ফাউন্ডেশনের নামের সাথে কলামের নাম গুলো আমরা দিয়ে দেই যেন কোন কলামে কয়টা রড লাগে সেটাও যেন মিস্ত্রিরা বুঝতে পারে। বাড়ি তৈরির প্লান করে কাজ শুরু করেন
বেজের বা ফুটিং , ভবনের বেজ
প্রতিটা কলামের লোড যেহেতু ফুটিংয়ে আসে আর কলামের লোড যেহেতু কমবেশি তাই মাটির ভার নেয়ার ক্ষমতার উপরে ভিত্তি করে ফুটিং এর মাপগুলো হয়ে থাকে এখানে বলে রাখা ভালো কলাম লোড আর মোমেন্ট নেয় কিন্তু ফুটিং অনলি লোড নেয়।
আর ফুটিং যেহেতু একটা একটি ক্যান্টিলিভারস লাভ এজন্য এখানে শুধু একটা সিঙ্গেল ফুটিং লেয়ারে ই রড হয়। তবে ফুটিংয়ের থিকনেস যদি অনেক হয়ে যায় তাহলে টপ লেয়ার রড দেওয়া লাগে। আপ লিফটিং হলেও রড দেওয়া লাগে উপরে লেয়ারে।
ভূমিকম্প প্রতিরোধী কলাম, ভূমিকম্প সহনীয় কলাম
ভূমিকম্প প্রতিরোধী কলাম, ভূমিকম্প সহনীয় কলাম: ভূমিকম্প প্রতিরোধক কলাম আমাদের দেশে খুব কম বিল্ডিং এই আছে। আমি এখানে যে কয়েকটা কলামের মাপ এবং রড দিয়েছি যদি এভাবে করে করতে পারেন তাহলে কিন্তু ভূমিকম্প প্রতিরোধক হবে তবে রোডগুলো কাটা প্লেসমেন্ট করা এগুলো অবশ্যই চেক করায় নিবেন সম্ভব হলে আমাকে দেখিয়ে চেক করিয়ে নিবেন।
আমরা অধিকাংশ বিল্ডিং ১০ ইঞ্চি অথবা ১২ ইঞ্চি কলামের ন্যূনতম পাস ধরে লম্বা করে কলাম করি এটা ভূমিকম্পের সময় তার যে বা্কলিং ক্যাপাসিটি এটা আসে না।
তাই ভূমিকম্প প্রতিরোধে কলাম করা খুব গুরুত্বপূর্ণ
বাড়ি তৈরির প্লান এর মধ্যে সিঁড়ি ও গুরুত্ব পূর্ণ।
বাড়ি তৈরির প্লান এর মধ্যে সিঁড়ি ও গুরুত্ব পূর্ণ।
বিম লেআউট
বিম লেআউট: কলাম কলাম জয়েন্ট এ সব সময় বিম করতে হয়। কলাম বাঁকা হলে ও বিম কলাম জয়েন্ট এ করতে হয়। তবে ক্ষেত্র বিশেষ বিম সোজা হতে পারে।
Grade or Roof Beam Details বিম এর রড
Grade or Roof Beam Details বিম এর রড: বিম এর রড প্লেসমেন্ট করা খুব ই গুরুত্বপূর্ণ। মেইন স্ট্রাকটার হচ্ছে বিম। লং সেকশন ও ক্রস সেকশন করে বিম এ রড প্লেসমেন্ট করলে মেস্তরি দের জন্য বুঝতে সুবিধা হয়। বাড়ি তৈরির প্লান এর মধ্যে বিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
২ তলা বাড়ি করতে খরচ কত ?
২ তলা বাড়ি করতে খরচ কত ?
দুই তলা বাড়ি করতে খরচ হয় কত এটা নির্ভর করে তার ফাউন্ডেশনের উপরে। ফাউন্ডেশন থেকে নিচতলার ফ্লোর কমপ্লিট পর্যন্ত একটা খরচ হয়। আমাদের এই বিল্ডিং টা হচ্ছে ১৯০২ বর্গফুট। যার তরুন এখানে আমাদের নিচতলার ফ্লোর পর্যন্ত করতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা।
তারপরে এখানে কলাম সিঁড়ি বিম ছাদ করতে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মত লাগবে শুধু মালামাল। মিস্ত্রি খরচ আসতে পারে ১ লক্ষ ৯০ হাজার ২০০ টাকা।
তাহলে ফলোয়ার করার পরে শুধু একটা ছাদ করতে ১০ লক্ষ ৬ হাজার ২৮ টাকা লাগল
বাড়ি তৈরির প্লান করার পরে খরচের পূর্ণাঙ্গ হিসাব জানা জরুরি।
এরপরে ইটের গাঁথুনির জন্য ২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩ শত ৭৫ টাকা লাগবে।
বাড়ি তৈরির খরচের হিসাব
বাড়ি তৈরির খরচের হিসাব খুব গুরুত্বপূর্ণ। খরচের হিসাব জেনে বাজেট করে কাজে হাত দিলে কাজ শেষ করতে পারবেন। আমরা সব সময় বিস্তারিত বাড়ি তৈরির খরচের হিসাব করে থাকি।
ভেতরের পাশে প্লাস্টার করার জন্য প্রায় ৩৩ হাজার টাকা লাগবে।
সিলিং প্লাস্টার করার জন্য প্রায় সাতার হাজার টাকা লাগবে।
বাহিরের পাশের ঈদের দেওয়ার প্লাস্টার করার জন্য ১৪ হাজার টাকার মালামাল লাগবে।
ফলস স্ল্যাব লিন্টেল এর জন্য প্রায় বিশ হাজার টাকা লাগবে।
সিঁড়ির রেলিং করতে ৪০ হাজার টাকার মত লাগবে এক পাশ করতে।
বারান্দার রেলিং করতে তিপান্ন হাজার টাকার মত লাগবে।
দরজার কাজ করতে ৭৮ হাজার টাকা লাগবে।
জানালার কাজ করতে 85 হাজার টাকার মত লাগবে।
জানালার গ্রিল করতে প্রায় ১৯ হাজার টাকা লাগবে।
তো সবকিছু মিলে মোট ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯০৯ টাকা লাগে।
টাইলসের কাজের জন্য তিন লক্ষ 69 হাজার টাকার মত লাগবে
আর আমরা রঙের কাজের জন্য ৬০ হাজার টাকা ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা প্লাম্বিং কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা লক্ষ টাকা আমরা এখানে রেখেছি।
যে একটা ফ্লোর সম্পূর্ণ কাজ করতে অলমোস্ট ২৮ লক্ষ ৩৮ হাজার ১৬০ টাকার মত লাগবে। তাহলে দুই তলা করতে এর দুই গুণ ৫৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩১৭ টাকা লাগবে।
ছাদের উপরে কাজ করতে আরো তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মত লাগবে।
তাহলে এখানে ৬০ লক্ষ ২৬ হাজার টাকার মতো লাগলো।
আর মাটির নিচে তো কাজ করতে অলমোস্ট ১৩ লক্ষ টাকার মত লাগলো।
সবকিছু মিলে 73 লক্ষ টাকার মত লাগবে খরচ। ২ তোলা বাড়ি তৈরির প্লান ও মালামাল ও মেস্তরি খরচ।
এখানে মেটিরিয়ালদের একটা সামারি করেছি যে, আর সি সি কাজে বা সিসি কাজে কত ব্যাগ সিমেন্ট লাল-বালি মানে সিলেট বালি, সাদা বালি মানে যার fm দেওয়া ১.২ , ইট আর রড কোন আইটেমে কতটুকু লেগেছে এখানে নামসহ দেওয়া আছে। এবং
যদি একটা আইটেম যেমন, নাম্বার ২ ফুটিং আরসিসি কাজ ১৫৭ব্যাগ সিমেন্ট, ১৭৭ ঘনফুট বালি, ৫৩২২ পিস্ ইটের খুয়া এখানে লাগলো আর রড লেগেছে ১২৬৯ কেজি।
এই ভাবে অন্য আইটেম গুলা ও দিয়া আছে। বাড়ি তৈরির প্লান এর জন্য মালামালের পরিমান জানা জরুরি।
আর. সি. সি. কোন কাজে কত মিলি মিটার রড কত কেজি লেগেছে তাই এইখনে দিয়া আছে।
বাড়ি তৈরির প্লান করার পরে সব ক্লায়েন্ট ই জানতে চায় কোন রড কত কেজি কিনবে। আমরা রোডের সাইজ এর সাথে পরিমান লিখে দেই।
মাটি পরীক্ষা গুরুত্ব ও উপকারিতা
মাটি পরীক্ষা গুরুত্ব ও উপকারিতা : মাটির ভার বহন ক্ষমতা জানার মাটি পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মাটির ২ ধরণের ভার বহন ক্ষমতা আছে। একটাভার্টিকাল লোড ক্যাপাসিটি আর একটা হরিজোন্টাল লোড ক্যাপাসিটি
নূন্যতম তিনটা বোরিং করতে হয় মানে তিনটা যায়গা থেকে সয়েল স্যাম্পল গুলোকে কালেক্ট করতে হয় আর যদি জমির পরিমাণ মোটামুটি হতে পারে যদি লেয়ার মাটির নিচে লেয়ারগুলো আপ ডাউন থাকে মানে উপরে নিচে থাকে ওই ক্ষেত্রে ডিফারেন্সিয়াল সেটেলমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে তখন আরো একাধিক বোরিং করার একটা লাগতে পারে।
এসপিটি ভ্যালু খুব গুরুত্বপূর্ণ সয়েল এর জন্য এবং সয়েল গুলো স্যাম্পল কালেক্ট করা হয় তখন বোঝা যায় এটা কোন টাইপের সয়েল এটা আবার কিছু পরীক্ষা আছে ল্যাবে আমরা পরীক্ষা করে দেখি এটা কোন টাইপের সয়েল। সয়েল ক্লাসিফিকেশন টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
নুন্নতম ৩ টি বোরিং করতে হয়। এর মধ্যে একটা বোরিং অবশ্যই করতে হবে ১০০ ফিট নূন্যতম। এবারে যদি ভবনের উচ্চতা বেশি হয় তাহলে এখানে আরো বেশি করতে হবে এটা অবশ্যই একজন জিওটেক ইঞ্জিনিয়ার বলে দিবে।
ফাউন্ডেশন ডিজাইনের ক্ষেত্রে একজন জিওটেক ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করালে ভালো হয়। ভবনের উচ্চতা বেশি হলে মানে ভবনের লোড বেশি হলে অবশ্যই জিওটেক ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে সয়েল টেস্টের সাথে ফাউন্ডেশন ডিজাইন টা করতে পারলে সব থেকে ভালো হয়।
আর স্ট্রাকচার ডিজাইন এর জন্য অবশ্যই একজন স্ট্রাকচার ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে ডিজাইন করাতে হবে। বাড়ি তৈরির প্লান কম খরচে করার জন্য মাটি গুরুত্বপূর্ণ।
আমাদের কাজ
আমাদের বাড়ির প্ল্যান এর কাজ গুলি দেখুন।
৩ তলা বাড়ির ডিজাইন