বাড়ি বানানোর নিয়ম কি? bari bananor niyom ki ? বাড়ি তৈরির নিয়ম কি
বাড়ি বানানোর নিয়ম bari bananor niyom, বাড়ি তৈরির নিয়ম জেনে বাড়ি করতে হবে। একবার ভুল হয়ে গেলে তো পরিবারের সহ সমাজের অনেক বড়ো ক্ষতির কারণ। বাড়ি বানানোর নিয়ম এর জন্য আমাদের দেশে “বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড” আছে।
স্ট্রাকচার ডিজাইন করতে কেমন ইঞ্জিনিয়ার দরকার ?
স্ট্রাকচার ডিজাইন একটা ভবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ
বাংলাদেশের বেশিরভাগ স্ট্রাকচার ডিজাইন ভুল। কলাম ডিজাইন ভুল বিম ডিজাইন ভুল, শেয়ার ওয়াল এর অবস্থান ও ডিজাইন ভুল। সবই মন গড়া ডিজাইন হচ্ছে যা বইয়ের সাথে মিল নাই।
কারণ বেশিরভাগ ডিজাইন হচ্ছে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে করা। আবার কিছু ইঞ্জিনিয়ার আছে যারা আইইবির মেম্বার না। একজন ইঞ্জিনিয়ার এর আই.ই.বি. মেম্বারশিপ থাকলে যদি সে ভুল ডিজাইন করে তাহলে তার নামে মামলা করে দেওয়ার সুযোগ আছে।
তাই কোন আই.ই.বি. মেম্বারশীপ প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ভুল ডিজাইন করে না।
অধিকাংশ স্ট্রাকচার ডিজাইন করার পরে ড্রয়িং এ ইঞ্জিনিয়ার এর নাম ও স্বাক্ষর থাকে না। অবশ্যই আইবি মেম্বারশিপ প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে ডিজাইন করিয়ে তার নাম ও স্বাক্ষর ও আই.ই.বি. মেম্বারশিপ নাম্বার সহ ড্রয়িং সংরক্ষণ করুন। আর স্বাক্ষরের নমুনা কপি ও সংরক্ষণ করুন।
এতে করে ডিজাইন ফেল করলে যেন তাকে ধরতে পারেন।
ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার তো আর আই.ই.বি. মেম্বারশিপ হতে পারে না। তার করা ডিজাইন ফেল করলে আপনি তার কিছুই করতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ডিজাইন করার নিয়ম নেই তারপরও যদি আপনি ডিজাইন করেন তাহলে এটা আপনার ভুল। দেশটা এই ভাবেই চলছে।
তাই আই.ই.বি. মেম্বারশিপ প্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে ডিজাইন করান এবং অভিজ্ঞ ইঞ্জিনিয়ার কে দিয়ে ডিজাইন করান। ডিজাইন করিয়ে তার স্বাক্ষর করা ড্রয়িং সংরক্ষণ রাখুন। তাছাড়া যদি আর্কিটেক্ট থাকে তারও স্বাক্ষর নিয়ে রাখুন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার ও প্লাম্বিং ইঞ্জিনিয়ার এর ও স্বাক্ষর নিয়ে রাখুন।
বাড়ির প্ল্যান অনুমোদন না থাকলে আপনি নির্মাণ কাজে হাত দিতে পারবেন না। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাজ এ হাত দিন। রাজউকের মধ্যে হলে রাজউক থেকে আর সিটি কর্পোরেশন এর মধ্যে হলে সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমোদন নিন।
২০২০ সালে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসারে বাড়ি বানানোর আগে সরকার অনুমোদিত স্থপতির মাধ্যমে বাড়ির নকশা ও তালিকা ভুক্ত সিভিল ইঞ্জিনিয়ার দ্বারা ভবনের স্ট্রাকটার ডিজাইন করতে হবে। ও রাজউক বা সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা থেকে প্ল্যান পাশ করে প্ল্যান মতো নির্মাণ করতে হবে।
এবং নির্মাণ কাজ করার সময় একজন ইঞ্জিনিয়ার কে সার্বক্ষণিক তদারকির মদ্ধে রাখতে হবে।
আকবর ভুল হয়ে গেলে পরে আবার করা অনেক ঝামেলা। তাই ভুল হওয়ার আগে ই ঠিক ভাবে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুসারে এক তলা বাড়ি বানানোর ক্ষেত্রে ও ডিপ্লোমা প্রকৌশলী দ্বারা নকশা ও স্ট্রাকচার ডিজাইন করার অনুমিতি নেই।
বাংলাদেশে পৌরসভায় বাড়ি করার সময় জায়গা ছাড়ার নিয়ম
পৌরসভায় বাড়ি করার সময় জায়গা ছাড়ার নিয়ম নির্ভর করে জমির পরিমান এর উপরে আর সামনের রাস্তার উপরে।
জমি যদি
১৩৪ বর্গ মিটার হয় তাহলে পিছনে ১ মি আর দুই পশে ০.৮মি
১৩৪ বর্গ মিটারের বেশি তাহলে পিছনে ১ মি আর দুই পশে ১ মি
২০০ বর্গ মিটারের বেশি তাহলে পিছনে ১.৫ মি আর দুই পশে ১ মি
২৬৮ বর্গ মিটারের বেশি তাহলে পিছনে ২ মি আর দুই পশে ১.২৫ মি
বাংলাদেশে পৌরসভার বিল্ডিং রুল কি?
বাংলাদেশে পৌরসভার বিল্ডিং রুল: রাস্তা হতে হবে নুন্নতম ১ ২ ফুট। নুন্নততম সামনে জমি ছাড়তে হবে ৫ ফুট . বিল্ডিং এর উচ্চতা হবে = (রাস্তার প্ৰস্থ + রাস্তা থেকে বিল্ডিং এর সামনের ফাঁকা জায়গা ) X ২ , বাকি ৩ পাশে জমির পরিমানের উপরে ভিত্তি করে জমি ছেড়ে দিতে হবে।
বাড়ির সামনের জায়গা ছাড়ার নিয়ম
বাড়ির সামনের জায়গা ছাড়ার নিয়ম ভবনের উচ্চতার উপরে আর সামনের রাস্তার প্রস্তের উপরে নির্ভর করে।
ভবনের উচ্চতা = ২x (রাস্তার প্রস্থ +রাস্তার কর্নার থেকে বাড়ি পর্যন্ত দুরুত্ব)
পৌরসভা এলাকায় বাড়ি বানানোর নিয়ম
পৌরসভা এলাকায় বাড়ি তৈরির নিয়ম এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে
ভবনের উচ্চতা হবে সামনের রাস্তার প্রস্থ যা আর রাস্তা বা জমির কর্নার থেকে ভবনের মদ্ধ বর্তী ফাঁকা জায়গা এর দুরুত্বের ২ গুন্ হবে। এর বেশি হবে না।
জমির মাপ হিসাবে ৩ পাশে জমি ছাড়তে হবে।
ভবনের / বাড়ির পাশে ফাঁকা জায়গা রাখার নিয়ম জানতে আমাদের বাড়ির ডিজাইন নকশা এই পেজের মধ্যে আছে।
পৌরসভার ক্যাটাগরি অনুসারে কিছু পৌরসভা তে শুধু আর্কিটেকচার পার্ট দিলে হয়।
কিছু পৌরসভাতে আর্কিটেকচার ও স্ট্রাকচার পার্ট দিতে হয়।
বাড়ি করার সময় জায়গা ছাড়ার নিয়ম
সেট ব্যাক রুল (SetBack Rule) কি?
ভবনের চার পাশে নূন্যতম যে জায়গা ছেড়ে করতে হয় তাকে সেট ব্যাক রুল (SetBack Rule) বলে। বাড়ির চার পশে জমি ছেড়ে করা ই বাড়ি তৈরির নিয়ম।
এই সেট ব্যাক রুল নির্ভর করে জমির পরিমান ও রাস্তার উপরে। বাড়ি বানানোর নিয়ম এর মধ্যে এই নিয়ম খুব ই গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ জমির মালিক মানতে ই চান না।
ভবনের সামনের দিক কোনটা ? Building Orientation?
রাস্তা যে পাশে থাকবে ওই পাশ থেকে ভবন কে দেখেলে যে পাশ আপনি দেখতে পাচ্ছেন ঐটা ই ভবনের সামনের দিক Building Orientation.
২ পাশে যখন রাস্তা থাকে তখন যে পাশ দিয়ে ঢুকার পথ করা হয় ঐটা ই ভবনের সামনের দিক।
রাস্তার দিকে মুখ করে বাড়ি বানানোর নিয়ম
সামনের দিকের বিপরীত পাশ হচ্ছে পিছনের পাশ।
আর ডান বামের ২ পাশ তো পাশ ই।
Maximul Ground Coverage (MGC) কি ?
সর্বোচ্চ কত টুকু জায়গা আমরা ভবন করে কভার করতে পারবো এটা ই হচ্ছে Maximul Ground Coverage (MGC).
এটার ও একটা নিয়ম আছে,
জমি ছেড়ে বাড়ি করা বাড়ি তৈরির নিয়ম
Maximul Ground Coverage (MGC) কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে ?
Maximul Ground Coverage (MGC) কি কি বিষয়ের উপর নির্ভর করে জমির পরিমান ও ভবনের ধরণের ও রাস্তার প্রস্থ উপরে।
৩ কাঠা একটা জমিতে ৬৫% ভবনের ছাদ এর বেশি করতে পাবো না।
বৃষ্টির পানি নিস্করণের জন্য এটা খুব ই উপযোগী।
বারান্দা বাড়ানোর নিয়ম।
বারান্দা বাড়ানোর নিয়ম: প্রত্যেক ফ্লোর এর যে ক্ষেত্রফল তার ২.৫% এর বেশি বাড়ানো যাবে না।
আর একটা নিয়ম : ভবনের সামনের প্রস্থ ৩০% লম্বা করা যাবে আর প্রস্থ হিসাবে ১ মি করে গুন্ করতে হবে।
কিন্তু এই বারান্দা কোনো ভাবে সেট ব্যাক রুলার মধ্যে যাবে না।
রাজউকের মধ্যে ভবন করতে গেলে FAR কি ?
বাড়ি তৈরির নিয়ম এর মধ্যে FAR অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। FAR হচ্ছে floor area ratio জমির ক্ষত্রফলের অনুপাতে সবগুলা ছাদের যোগ ফলের অনুপাত ই হচ্ছে FAR . তবে এখানে কিছু কিছু জায়গা FAR এর area তে আসবে না। FAR =(সকল মেঝের খেত্রফল)/জমির ক্ষেত্রফল
FAR (floor area ratio) এর সুবিধা :
১) পাশের ভবনে আগুন লাগলে নিরাপদ থাকা যাবে
২) বৃষ্টির পানি মাটির গভীরে যেতে পারবে
৩) পর্যাপ্ত আলোবাতাস আসবে।
FAR (floor area ratio) এর উদ্দেশ :
১) ফাঁকা জমি কি পরিমান ছাদের মদ্ধে আন্তে পারবো
২) কোনো নির্দিষ্ট এলাকার জমিকে একটা নির্দিষ্ট জোনিং এ সীমাবদ্ধ রাখার জন্য
৩) ভূমির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য
মোট কথা জমি গুলা কে অনুভূমিক ভাবে ব্যবহার না করে যেন উলম্ব ভাবে ব্যবহার করি।
সর্বোচ্চ কত তলা ভবন করা যাবে ??
বাড়ি বানানোর নিয়ম এর মধ্যে ভবনের উচ্চতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সর্বোচ্চ কত তলা ভবন করা যাবে এটা নির্ভর করে FAR এর উপর।
FAR = সব গুলা ছাদের ক্ষত্রফল / জমির ক্ষেত্রফল
রাজুকের ৩ কাঠা থেকে ৪ কাঠা জমিতে বাড়ি করার নিয়ম কি ?
বাড়ি তৈরির নিয়ম: রাজুকের ৩ কাঠা থেকে ৪ কাঠা জমিতে বাড়ি করার নিয়ম যদি একটা জমি হয় ৩ কাঠার বেশি আর ৪ কাঠার কম হয় তাহলে সেটব্যাক হবে সামনে ১.৫মি পিছনে ১.৫ মি ও ২ পাশে ১ মি।
এখন সামনের সেটব্যাক এর ২ টা নিয়ম একটা হচ্ছে চার্ট এ যেটি পাবো আর একটা হচ্ছে ৪.৫ মি। এর থেকে যেটা বড়ো। সেট ব্যাক এর জমি গুলা ছেড়ে দিতে হবে।
যদি জমির মাপ হয় ১২ মি আর ১৮ মি। তাহলে জমির ক্ষত্রফল হবে ২১৬ বর্গ মিটার।
FAR হবে ৩.৫
MGC হবে ৬২.৫%
সামনে সেটব্যাক ১.৫মি, পিছনে ১.৫মি, ২ পাশে ১ মি।
তাহলে ছাদ হবে ১৫০ বর্গ মিটার
এখন ১৫০ বর্গ মিটার করলে MGC হয় (১৫০x ১০০)/২১৬=৬৯.৪৪%
তাহলে বেশি হয়ে গেল তাই
তাহলে ছাদ করতে হবে ২১৬x ৬২.৫%=১৩৫বর্গ মিটার।
যদি সামনের দিকে আরো ১.৫মি ছেড়ে দেই তাহলে ই হবে। এই সামনের দিকে আমরা বারান্দা করতে পারবো। বাড়ি তৈরির নিয়ম মেনে বাড়ি করা উচিৎ
জায়গা ছেড়ে বাড়ি বা ভবন করলে সুবিধা কি ??
জায়গা ছেড়ে ভবন করলে ভবন মালিকের ই সুবিধা বেশি। আর যদি জমি না ছেড়ে করা হয় তাহলে অসুবিধা ই বেশি। যেমন
আপনি যদি বাড়ি বানানোর নিয়ম মেনে ৬৭.৫% জমি ব্যবহার করেন তাহলে বাকি জায়গা আলো বাতাস আসার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ হবে। একবারে যদি ব্লক করে দেন তাহলে তো বাতাস আসবেনা। আলো ও আসবে না। আর আলো বাতাস না আসলে আপনি তো সুস্থ থাকবেন না সেই সাথে আপনার ঘরের আসবাব পত্র ও নষ্ট হবে। এমন কি বাহির থেকে আসলে ঘাম এর কাপড় ও নষ্ট হয়ে যাবে।
অধিকাংশ ভবন যেভাবে নিয়ম মেনে করা হচ্ছে না তাতে আপনার পাশের ভবন অন্তত অল্প হেলে পড়লে ও আপনার ভবনের সাথে লেগে যাবে না।
তাছাড়া অগ্নি নির্বাপন কাজে ও ফাঁকা জাগায়কাজে লাগে। তবে বাস্তবতা হলো বইতে নূন্যতম ফাঁকা জায়গা রাখার কথা বলা আছে। তাই অবস্যই মানতে হবে।
তাছাড়া জমি ছেড়ে ভবন করলে বৃষ্টির পানি মাটির মাদ্ধমে গভীর স্তরে যেতে পারে। এখন ঢাকা শহরের যে অবস্থা বেশি বৃষ্টি হলে ই জলাবদ্ধ হয়ে যায়।
সবাই যদি চারপাশে জায়গা খালি না রেখে বাড়ি বানায় তাহলে ভবিষ্যতে মাটির ভেতরকার পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাবে। বলা যেতে পারে একটা ফাঁপা জায়গার উপর ঢাকা শহর দাঁড়িয়ে থাকবে
বাড়ি বানানোর নিয়ম মেনে বাড়ি নির্মাণ করলে যে কোনো ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া সুবিধা হয়।
বাড়ি তৈরি করার আগে কি করে নিতে হয়?
বাড়ি তৈরি করার আগে প্রথম ধাপ হল জায়গা পরিষ্কার করা। জায়গা লেভেল করা। ভবনের ওজন অনেক বেশি হয় তাই মজবুত ফাউন্ডেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মাটি কাটার আগে লে আউট ভালো করে চেক করে নিন। মালামাল রাখার ব্যবস্থা করুন। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে প্রজেক্টে শেড দিয়ে রাখুন। রডের দৈর্ঘ্য ও কংক্রিটের ঢালের পরিমাণ চেক করুন। জয়েন্ট গুলো ভালো করে চেক করুন।
বিল্ডিং এর খরচ কিভাবে বের করতে হয়?
ধরা যাক আপনি ১৫০০ স্কয়ার ফিটের একটি বাড়ি করবেন বাংলাদেশে প্রতি বর্গফুটে নির্মাণ খরচ ২০০০ টাকা। তাহলে আপনার ভবন করতে খরচ হবে ১৫০০ X ২০০০= ৩০০ ০০ ০০ টাকা। অপ্রত্যাশিত খরচ হতে পারে ১২ থেকে ১৫% , তাহলে আপনার নির্মাণ খরচ হতে পারে মোট ৩৩ ৬০ ০০০ টাকা থেকে ৩৪ ৫০ ০০০ টাকা। ফাউন্ডেশন খরচ বাদে প্রতি ফ্লোরে।
বাড়ি করতে কত ইট লাগে?
গাঁথুনি করতে ১০ ইঞ্চি দেওয়াল হলে প্রতি এক বর্গফুটে ১০ টি ইট লাগে আর ৫ ইঞ্চি দেওয়াল হলে প্রতি ১ বর্গফুটে ৫ টি ইট লাগে তখন গাথুনি জন্য মটরের রেশিও হবে ১ ব্যাগ সিমেন্ট ৪ ব্যাগ বালি। তবে বালু যেন মোটা হয়।
বাড়ির পরিকল্পনা কিভাবে করতে হয়?
প্রতিটি রুমের উদ্দেশ্য বিবেচনা করুন। রুমে কি কি থাকবে? রুমটা আপনি কিভাবে করে বেবহার করবেন? প্রতিটা ফার্নিচারের মাপ মনে রাখুন। কোথায় কোন ফার্নিচার বসাবেন হিসাব করুন। তারপরে রুমের মাপ কত হবে নির্বাচন করুন। তখন বাড়ির পরিকল্পনা করে লাভবান হতে পারবেন। পাবলিক এক্সপ্রেস কতটুকু হবে হিসাব করুন প্রাইভেট স্পেস কতটুকু হবে হিসাব করুন। আলো বাতাস কিভাবে করে প্রবাহিত হবে হিসাব করুন।
অনুমতি ছাড়া কত তলা নির্মাণ করা যাবে?
অনুমতি ছাড়া একতলা করতে পারবেন না। বাউন্ডারি ওয়াল করতে ও অনুমতি প্রয়োজন।
এমনকি পুকুর খনন করতে অনুমতি প্রয়োজন। অনুমতি না নিয়ে ভবন করলে সরকারের আইনে বলা আছে বিল্ডিং ভেঙ্গে দিতে পারবে সরকার।
বাংলাদেশে বাড়ি বানাতে কত টাকা লাগে?
২০২৪ সাল অনুসারে ফাউন্ডেশন খরচ ১তলার জন্য প্রতি বর্গ ফিটে ৭০০ টাকা দুই তলার জন্য ৭৫০ টাকা তিন তলার জন্য ৮৫০ টাকা চারতলার জন্য এক হাজার টাকা 5 তলার জন্য বারোশো টাকা ৬তলার জন্য ১৪০০ টাকা।
তাছাড়া প্রতি বর্গ ফিটে ভবন করতে দুই হাজার টাকা থেকে ২৫০০ টাকার মত লাগে।
বাড়ির ডিজাইনের জন্য যোগাযোগ করুন। আমাদের বাড়ির নকশার ভিডিও দেখুন।
মসজিদ এর ডিজাইন দেখুন