রেট্রোফিটিং বর্তমানে একটি বহুল জনপ্রিয় একটি সেক্টর, দিন দিন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বড় অংশ দখল করে নিচ্ছে রেট্রোফিটিং। বাংলাদেশেও বিভিন্ন জায়গায় বহুল ভাবে রেট্রোফিটিং এর কাজ হচ্ছে। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব রেট্রোফিটিং নিয়ে বিস্তারিত ।
রেট্রোফিটিং কি ??
পূর্বে নির্মিত বিল্ডিং বা স্ট্রাকচার এ নুতন কিছু সংযোগ করে , বিল্ডিং এর স্ট্রেনথ বাড়ানোর বা শক্তিশালী করার প্রক্রিয়াকে রেট্রোফিটিং বলা হয়ে থাকে।
বিল্ডিং এ রেট্রোফিটিং কেন করা হয় ?
বিভিন্ন কারণে রেট্রোফিটিং করা হয়ে থাকে , তার মধ্যে প্রধান প্রধান কিছু কারণ নিন্মে তুলে ধরা হয়ঃ
১. বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে না মেনে বিল্ডিং নির্মাণ করা হলে ।
২. অনেক সময় ডিজাইন এ ত্রুটির কারণেও রেট্রোফিটিং এর দরকার হয় ।
৩. দীর্ঘদিন ব্যবহারে ও অপ্রত্যাশিত প্রাকৃতিক দুর্যোগ এ ক্ষতিগ্রস্থ হলে বিল্ডিং এর স্ট্রেনথ বাড়াতে হয় ।
৪. ব্যবহৃত বিল্ডিং এর মূল ডিজাইনের বাহিরে গিয়ে অনেক ধরণের পরিবর্তন করা হলে ।(উদাহরণস্বরুপ – কোন ধরনের প্রভিশন না থাকা সত্বেও বিল্ডিংটিকে উপরের দিকে বা যেকোন পাশে বর্ধিতকরণ ইত্যাদি )
৫. বিল্ডিং এ ব্যবহারের ধরন পরিবর্তন করা । ( যেমনঃ রেসিডেনসিয়াল বিল্ডিং করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অথবা কমার্শিয়াল হিসাবে ব্যবহার করা হলে , বিল্ডিং লোড বিয়ারিং সক্ষমতায় তারতম্য হয় । যার ফলে বিল্ডিংকে পুনরায় শক্তিশালী করার প্রয়োজন পড়ে )
উপরোল্লিখিত কারণে মূলত বিল্ডিং এ রেট্রোফিটিং , স্ট্রেনথিনিং বা শক্তিশালী করার দরকার হয় ।
বিল্ডিং এ সাধারত কি ধরনের রেট্রোফিটিং করা হয়?
১.রিনফোর্স স্ট্রেন্থনিং
2.এক্সটারনালি বন্ডেড প্লেট
৩.শিয়ার বা কম্প্রেশন স্ট্রেন্থনিং
রেট্রোফিটিং এ সবচেয়ে বেশি প্রচলিত রেট্রোফিটিং কিছু পদ্ধতি আছে।
যার মধ্যে বহুল প্রচলিত কিছু পদ্ধতি আলোচনা করা হল।
1.Concrete Jacketing of Columns
2.Steel Profile Jacketing of column
3.Addition of Shear Wall4.Addition of extra Structural Member
5.Ferro-cement Jacketing
6.Fiber Reinforced Polymer Wrapping
এই পদ্ধতিতে কলামের চারপাশে নতুন ভাবে রিনফোর্সমেন্ট এর কাভারিং করা হয়, এবং নতুন ভাবে কলামের ঢালাই করা হয়। এর মাধ্যমে কলামের সাইজ বৃদ্ধির সাথে সাথে কলামের স্ট্রেনথ বৃদ্ধি পায় । রিনফোর্সমেন্ট জ্যাকেটিং এর সাইজ এবং রিনফোর্সমেন্ট এর ডায়া এবং রিনফোর্সমেন্ট এর সংখ্যা নির্ভর করে স্ট্রাকচারের এনালাইসিস এর উপর।
#সুবিধা
>কলামের কনক্রিট কনফাইনমেন্ট বৃদ্ধি পায়
>কলামের লোড বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
>কলামের শিয়ার ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায়
>কলামের ফ্লেক্সারাল স্টেনথ বৃদ্ধি পায়
>অন্যান্য রেট্রোফিটিং এর তুলনায় এই পদ্ধতি তে কস্টিং কম
>সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি ,এই পদ্ধতি খুব সহজেই এপ্লাই করা যায়
#অসুবিধা
>এই পদ্ধতিতে কলামের সাইজ অনেক বৃদ্ধি পায় যার ফলে স্ট্রাকচারের আর্কিটেকচারাল ভিউ নস্ট হয়
>কলামের সাইজ বৃদ্ধির কারনে জায়গা কমে যায়
এই পদ্ধতিতে কলামের চারপাশে নতুন ভাবে স্টিল প্লেট এর কাভারিং করা হয়,এবং কণ ঢালাই দেওয়া হয়না । এর মাধ্যমে কলামের সাইজ কিছুটা বৃদ্ধির সাথে সাথে কলামের স্ট্রেনথ বৃদ্ধি পায় । স্টিল প্লেট জ্যাকেটিং এ স্টিল প্লেট এর সাইজ ও থিকনেস এবং স্টিল জ্যাকেটিং এর কাভারিং এর পরিমান নির্ভর করে স্ট্রাকচারের এনালাইসিস এর উপর।
#সুবিধা
>কলামের কনক্রিট কনফাইনমেন্ট বৃদ্ধি পায়
>কলামের লোড বহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
>কলামের শিয়ার ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায়
>কলামের ফ্লেক্সারাল স্টেনথ বৃদ্ধি পায়
> রিনফোর্সমেন্ট জ্যাকেটিং এর তুলনায় এই পদ্ধতি তে কলামের সাইজ কিছুটা কম বৃদ্ধি পায় ।
#অসুবিধা
>এই পদ্ধতিতে কলামের সাইজ কিছুটা বৃদ্ধি পায় এবং স্টিল প্লেট উম্মুক্ত থাকায় স্ট্রাকচারের আর্কিটেকচারাল ভিউ নস্ট হয়।
>কলামের স্টিল প্লেট জ্যাকেটিং এর জন্যে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ার এবং দক্ষ লেবার এর প্রয়োজন এবং স্টিল প্লেট এর করোসন রোধে মেইন্টেইনেন্স করতে হয়
>কলামের স্টিল প্লেট এবং কনক্রিট এর মাঝের জায়গায় বন্ডিং এর জন্যে স্পেশাল ইপোক্সি ব্যাবহার করা হয়
এই পদ্ধতিতে বিল্ডিং ফ্রেম এ শিয়ার ওয়াল যোগ করা হয়। সাধারনত নন-ডাকটাইল রিনফোর্স কনক্রিট স্ট্রাকচারে এই পদ্ধতি বেশী ব্যাবহার করা হয় ।(
>এই পদ্ধতি তে ব্যাবহত শিয়ার ওয়াল প্রি-কাস্ট বা কাস্ট-ইন সিটু হতে পারে ।
>শিয়ার ওয়াল বিল্ডিং এর আউট সাইড বা এক্সটেরিয়র ওয়ালে দেওয়া হয় ফাইবার রিনফোর্স পলিমার #FRP দিয়ে রেট্রোফিটিং
ফেরোসিমেন্ট বর্তমানে বহুল প্রচলিত একটি রেট্রোফিটিং পদ্ধতি ।
এই পদ্ধতিতে সাধারনত ফেরোসিমেন্ট এর মেশ বা জাল ব্যাবহার করা হয় যার ফলে কলামের লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি পায় । >কনক্রিট কে অনেক বেশী ডিউরেবল করে >ফায়ার রেসিসটেন্ট এর জন্যে ফেরোসিমেন্ট খুবই ইফেকটিভ (7500C for 48 hours)
>ফেরোসিমেন্ট জ্যাকেটিং এ থিকনেস ৪০-৫০ মিমি বৃদ্ধি পায় যা এসথেটিক ভিউ তে ইফেক্ট করেনা
>কলামের বাকলিং রেসিসটেন্স বৃদ্ধি করে
ফাইবার রিনফোর্স পলিমার বর্তমানে বহুল প্রচলিত রেট্রোফিটিং পদ্ধতি। ফাইবার রিনফোর্স পলিমার সাধারনত কলামের সিসমিক রেট্রোফিটিং এর জন্যে ব্যাবহার করা হয়। স্টিল ও কনক্রিট এর জ্যাকেটিং এর থেকে ফাইবার রিনফোর্স পলিমার এর অনেক গুলো আলাদা সুবিধা আছে ।
#সুবিধা
>ফাইবার রিনফোর্স পলিমার অনেক বেশী স্ট্রেন্থ দেয় এবং খুবই ওজনে খুবই হালকা যার কারনে বিল্ডিং স্ট্রেনথ অনেক গুন বৃদ্ধি পায়
>হাই মডুলাস অফ ইলাস্টিসিটি>করোসন রেসিস্টেন্স
>কলাম/বিমের ডাইমেনন এ কোন পরিবর্তন করেনা যার কারনে আর্কিটেকচারাল ভিউ তে কোন ইফেক্ট হয়না ।
#অসুবিধা
> অনেক ব্যায়বহুল ফাইবার হচ্ছে দীর্ঘ filament এর তৈরি একটি উপাদান। একটি একক ফাইবার সাধারণত 15 um ব্যাস পর্যন্ত হয়। ফাইবারগুলির প্রধান ফাংশন হচ্ছে লোড বহন করা, স্থাপত্য বৃদ্ধি করা, এবং অন্যান্য স্ট্রাকচারাল বৈশিষ্ট্যগুলি সরবরাহ করাবিভিন্ন রকম ফাইবার রিনফোর্স পলিমার রয়েছে>কার্বন ফাইবার রিনফোর্স পলিমার
>গ্লাস ফাইবার রিনফোর্স পলিমার
>এরামিড ফাইবার রিনফোর্স পলিমারএর মধ্যে কার্বন ফাইবার রিনফোর্সমেন্ট পলিমার সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয় ও বহুল ব্যাবহত একটি পদ্ধতি ।এই পদ্ধতি তে কলাম বা বিম কে CFRP ফাইবার দিয়ে র্যাপিং করা হয় এবং এই র্যাপিং বিভিন্ন ভাবে করা যায়, বিল্ডিং এনালাইসিস এর উপর ভিত্তি করে কলাম বা বিম কে পারসিয়ালি ও সম্পুর্ন র্যাপিং করা হয়।
পারশয়ালি- ৩০%-৫০%-৭০% পারসিয়ালি এবং সম্পুর্ন র্যাপিং এর ক্ষেত্রে লোড বিয়ারিং ক্যাপাসিটি বিভিন্ন রেশিও তে বৃদ্ধি পায় পারশিয়ালি র্যাপিং এর ক্ষেত্রে স্ট্রেনথ ৩০-৫০ % পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় আর সম্পুর্ন র্যাপিং এর ক্ষেত্রে ১.৫-২ গুন পর্যন্ত শক্তি বৃদ্ধি পেতে পারে …বাংলাদেশে অনেক জায়গায় CFRP রেট্রোফিটিং এর কাজ হচ্ছে ।
Building planning consultant. Residential and commercial building Architecture Design, Structure Design, 3D design rendering, Animation works, Electrical design, Plumbing Design, and much more.
বাড়ির ডিজাইন করতে চাইলে এই ফ্রম পূরণ করুন
হা আমরা অনলাইন বাড়ির প্ল্যান ডিজাইন এর কাজ করি। যেহেতু আপনার এলাকায় আমাদের অফিস না
তাই আমরা অনলাইনে ই কাজ করি।
আমরা প্রি পেইড এ কাজ করি। কাজ এর শুরুতে আমরা বায়না করার জন্য ২০% পেমেন্ট নিয়ে থাকি।