Earthquake Building Design in Bangladesh ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন
ভূমিকম্প প্রতিরোধী ভবন কিভাবে তৈরি করা যায়?
ভূমিকম্পের সময় ভবন ধসে পড়া সহ্য করার জন্য যে আনুভূমিক ভূমিকম্পের লোড ভবনের প্রতিটা কলাম বিমে পুনরায় বিতরণ করতে হয়। শিয়ার ওয়াল করা, ব্রেসিং করা, বিল্ডিং এর কেন্দ্রবিন্দু ডায়াফ্রাম মাঝখানে রাখা।
শিয়ার ওয়াল করা একটি দরকারি বিল্ডিং প্রযুক্তি যা ভূমিকম্পের শক্তি স্থানান্তর করতে সহায়তা করে। তাছাড়া কলাম বীমে বেশি করে কনফাইনমেন্ট করা যেন ভূমিকম্পের সময় প্লাস্টিক আচরণ করে। শিয়ার ওয়াল ৭৫% ভূমিকম্পের লোড নিতে পারে। কলামের মোমেন্ট ক্যাপাসিটি অবশ্যই বিম থেকে ২০% বেশি হতে হবে।
এমনকি পৌরসভা থেকে যে প্ল্যান গুলা স্ট্রাকচার ডিজাইন সহ প্ল্যান পাস্ হয় ওই গুলা ও ভূমিকম্প সহনীয় হয় না। অধিকাংশ মানুষ মনে করে আমি তো টাকা দিয়ে প্ল্যান পাস্ করিয়েছি আমার প্ল্যান তো ভূমিকম্প ও গুর্নিঝড় সহনীয় হয়েছে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন।
দেশের ৯০% ভবন ই ভূমিকম্প সহনীয় নয়। একটা দেশের জন্য বড়ো ঝুঁকির কারণ।
ভূমিকম্পের জন্য কলাম ও বিম কে বিশেষভাবে ডিজাইন করতে হয়, যেমন কলাম শুধু ভাটিকাল লোড আর মোমেন্ট নিবেনা, কলাম কে কাঁপতেও হবে. নড়াচড়া করতে হবে।
তিনটা বৈশিষ্ট্য থাকতে হয় কলামের, যেমন
- কলাম লোড ক্যাপাসিটি
- কলামের মোমেন্ট ক্যাপাসিটি, আর
- ভূমিকম্প আসলে কলাম যেন প্লাস্টিকের মতো বাঁকা হতে পারে এমন
কিন্তু দুঃখের বিষয় অধিকাংশ বিল্ডিং এর কলাম ডিজাইনের ভুল, আমি দেখেছি কিছু বিল্ডিং এর শুধু ভার্টিকার লোড নেয়ারও ক্যাপাসিটি নাই, আবার কিছু বিল্ডিংয়ের কলামের মোমেন্ট নেয়র ও ক্যাপাসিটি নাই, আবার কিছু বিল্ডিংয়ের ভূমিকম্প আসলে কলাম নড়াচড়া করার ও ক্যাপাসিটি নেই।
একটা ভূমিকম্প সহনীয় স্ট্রাকচারের জন্য প্রথমে তার বেজ বা ফাউন্ডেশন তারপরে তার কলাম তারপরে তার বিম। ভূমিকম্পের সময় যেন কিছুটা হলেও বাকা হতে পারে সেই ভাবে করে করা উচিত।
ভবনের স্ট্রাকচার ডিজাইন আর ভবনের ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন এক নয়,
স্ট্রাকচার ডিজাইন: ভাবনের নিজস্ব ওজন আর মানুষের লাইফ লোড হিসাব করে যখন কোন একটা স্ট্রাকচারের ফাউন্ডেশন, বিম ও কলামের ডিজাইন করা হয় তখন তাকে স্ট্রাকচার ডিজাইন বলে। একে বইয়ের ভাষায় বলা হয় Non sway ফ্রেম।
ভূমিকম্প সহনীয় স্ট্রাকচার ডিজাইন: ভবনের নিজস্ব ওজন ও মানুষের লাইফ লোড হিসাব করে সেই সাথে ভূমিকম্প লোড হিসাব করে এবং এই লোড গুলোকে বিভিন্নভাবে কম্বিনেশন করে এরপরে যে লোড কম্বিনেশনে বেশি লোড ধরে যে ডিজাইন করা হয় সেটা ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড় সহনীয় হয়
বাস্তবতা হলো আমাদের দেশের অধিকাংশ স্ট্রাকচার ডিজাইন ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিকম্প সহনীয় না করে অনেক ইঞ্জিনিয়ার স্ট্রাকচার ডিজাইন করছে এই ভুল ধরার কেউ নেই এটা বাংলাদেশের চরম ব্যর্থতা। ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড় স্মরণীয় স্ট্রাকচার ডিজাইন করতে গেলে কি কি বিবেচ্য বিষয়গুলো আছে এগুলো ড্রয়িং এ অবশ্যই উল্লেখ থাকতে হবে। শুধু উল্লেখ থাকা না এগুলো প্রয়োগ করার পরে স্ট্রাকচার কতটুকু এলাও করছে এই ভ্যালুগুলো এখানে উল্লেখ থাকা জরুরী। ভূমিকম্পের বিবেচ্য বিষয়গুলো হল:
1. site class
2. zone
3. zone coEfficient
4. Time Period
5. Frame type
6. Importance Factor
7. Responce reduction factor
8. Seismic design catagory
9. Structure Type
10. Occupancy Category
অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার বিবেচ্য বিষয়গুলো বাদ দিয়ে ইচ্ছামত রড বসিয়ে দেয়। কারণ এইগুলা হিসাব করা অনেক সময় সাপেক্ষ।
আবার ভুলের একটা বিষয় হলো যে বিবেচ্য বিষয় গুলোকে বিবেচনা করার পরে এটা যখন আউটপুট হয় তখন এটা অ্যালাওব লিমিট এর মধ্যে আছে কিনা এটা আবার অনেক ইঞ্জিনিয়ার বুঝতে পারে না।
ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন
সাইট ক্লাস Site Class
ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন Earthquake Building Design in Bangladesh করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। ভূমিকম্প সহনীয় ডিজাইন করতে যোগাযোগ করুন।
বাড়ির ডিজাইনের জন্য আজ ই যোগাযোগ করুন
সয়েল টেস্ট বা মাটি পরীক্ষার উপরে ভিত্তি করে বিল্ডিং এর কলাম, বিম ভিন্ন ভিন্ন ভাবে রড প্লেসমেন্ট করতে হয়
মাটি যদি দুর্বল হয় তাহলে রড বেশি লাগে।
মাটি যদি মধ্যম মানের দুর্বল হয় তাহলে রড মধ্যম মাণের লাগে,
মাটি যদি শক্ত হয় তাহলে রড কম লাগে।
অধিকাংশ জায়গাতে দেখা যায় একই প্যাটার্ন ডিজাইন সবখানেই একরোড দেওয়া এর মানে এখানে ছয় টেস্ট ঠিকমতো হয়নি অথবা হলেও ইঞ্জিনিয়ার কোয়ালিটি ফুল ছিল না
ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন করতে গেলে প্রথমে সাইটক্লাস বের করতে হবে। মাটি কতটুকু শক্ত কতটুকু নরম ইটা সাইটক্লাস বের করলে বুঝা যায়।
বিল্ডিং কোথায় হবে? সেই জোনের zone coefficient কত? সেটা বের করতে হবে।
এই ভূমিকম্প আর ঘূর্ণিঝড়ের লোড ভবনের উপরে প্রয়োগ করার ফলে এরপরে যে লোডটা বাড়ে সেই লোড বিভিন্নভাবে কম্বিনেশন করে তারপরে ফ্রেমের মানে কলাম বীমের আকার ঠিক করা হয় এবং এখানে রডের পরিমাণ দেওয়া হয়
এখানে
B: OMRF
C: IMRF
D: SMRF
SMRF এ রড বেশি প্রয়োজন হয় । কিন্তু ফ্রেম বা কলাম বিম ভাল বাঁকলিংক করে। তাছাড়া ভূমিকম্প যেখানে যে magnitude এ উৎপন্ন হোকনা কেন তার ইনটেনসিটি কিন্তু নরম মাটিতে বেশি। তাই SMRF ফ্রেম করা উচিত।
যে ইঞ্জিনিয়ার Earthquake Building Design in Bangladesh ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন করতে পারে, তাকে এ স্পেশাল মোমেন্ট রেজিস্টিং ফ্রেম জানতে হয়। এখানে রডের পরিমাণ বেশি আসে তারপরেও ভবনের জন্য ভালো,
কংক্রিট কে বাঁকা হতে দিতে হবে তাহলে সে প্লাস্টিক ম্যাটেরিয়াল এর মত ব্যবহার করবে । তাই রড বেশি প্রয়োজন আর যদি বাঁকা হতে না পারে ডট কম দেওয়া হয় তাহলে সে কাচের মত ভেঙে যাবে।
কলামগুলো যত সম্ভব বর্গা আকৃতির করতে হবে। কলামের রডের জয়েন্ট মাঝখানের দিকে করতে হবে। কলামের টাই গুলো এইট্টি গ্রেডের রড দিয়ে করতে হবে। প্রতিটা কলামের রড কে ঠাই দিয়ে আটকাইতে হবে। জয়েন্ট এর মধ্যে কলাম ও বিম জয়েন্টের মধ্যে কলামের টাই অবশ্যই দিতে হবে। কলামের তাই গুলো অবশ্যই ১৩৫ ডিগ্রি অ্যাঙ্গেল করে দিতে হবে। এবং এই বেন্ড 4D ব্যাসার্ধে করতে হবে।
বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ার যারা একটু কম টাকার মধ্যে কাজ করে এরা শুধুমাত্র ভার্টিক্যাল লোডিং হিসাব করে এমনকি আমি দেখেছি অনেকে ভার্টিক্যাল রোড হিসাব করতে গেলেও ভুল করে
বিল্ডিং ডিজাইন
কিন্তু Earthquake Building Design in Bangladesh ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন করতে গেলে ভবনের নিজস্ব লোড মানুষের লাইফলোড বের করে তার সাথে ভূমিকম্পের জন্য বিবেচ্য বিষয়গুলোকে বিবেচনা করা হয় সেই সাথে ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের লোড বের করে ভবনের থ্রিডি মডেল করে ফাই নাইট ইলিমেন্ট মেথডে এপ্লাই করে ডিজাইন করলে লোড কম্বিনেশন এর বেশি লোড ধরে ডিজাইন করে দেয়।
এখানে একটা বিষয় আমরা উল্লেখ করেছি সেটা হচ্ছে বেজ, সেপটিক ট্যাঁক, পানির ট্যাঁক এবং এই গুলা করতে মেস্তরি খরচ কত হতে পারে সেটা ই আমার হিসাব করেছি।
পূর্নাঙ্গ বাড়ির নির্মাণ খরচ জানতে নিচের আর্টিকেল পড়তে পারেন।
এই রকম সুন্দর বাড়ির ডিজাইন করার জন্য যোগাযোগ করুন
বাড়ির ভিডিও দেখুন,
ভূমিকম্প সহনীয় ভবন করলে কনস্ট্রাকশন খরচ ৫ % বাড়বে।
কি ভাবে আমরা ভূমিকম্প ও ঘূর্ণিঝড় সহনীয় ইমারতের ডিজাইন করছি , সেটা এই ভিডিওতে দেখুন। এই ভাবে আমরা অপার জন্য ভূমিকম্প সহনীয় ইমারতের ডিজাইন করে দিবো ইনশাল্লাহ।
ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন খরচ বেশি, কারণ এখানে প্রতিটা ফ্রেম প্রতিটা জয়েন্ট চেক করা লাগে। একটা চেকে পাস করলে দেখা যায় অন্য চোখে কোন না কোন পাশে ফেল করার সম্ভাবনা থাকে তাই এখানে খুব কেয়ারফুলি ডিজাইন চেক করতে হয়।
আপনার যদি ভূমিকম্প সহনীয় স্ট্রাকচার ডিজাইন প্রয়োজন হয় তাহলে আপনি নিজের ফর্মটি পূরণ করুন
Earthquake Building Design in Bangladesh ভূমিকম্প সহনীয় বিল্ডিং ডিজাইন
এই ভূমিকম্প আর ঘূর্ণিঝড়ের লোড ভবনের উপরে প্রয়োগ করার ফলে এরপরে যে লোডটা বাড়ে সেই লোড বিভিন্নভাবে কম্বিনেশন করে তারপরে ফ্রেমের মানে কলাম বীমের আকার ঠিক করা হয় এবং এখানে রডের পরিমাণ দেওয়া হয়
Load Combination as per BNBC 2020
Earthquake Structure Design Model
এত টাকা দিয়ে একটা বাড়ি করবেন এখানে যদি ডিজাইন টা ভুল হয়ে যায় তাহলে তো অনেক বড় ক্ষতির কারণ